Posts

Showing posts from February, 2020

"অনির্বাণ আরও কটাদিন"

অনির্বাণ, তুমি চাইলে আরও কটা দিন আমাকে দিতে পারতে। তুমি চাওনি না?  আমি কিন্তু চেয়েছিলাম। অনেকটাদিন, অনেকটারাত বুকে আগলে রেখে দিতে। কিন্তু পারিনি, সময়টুকুই দাওনি। কেন করলে এরকম? অনির্বাণ, মনে আছে আমাদের প্রথম দেখা ? আমার কাছে সেই মুহূর্তটা সম্মোহনের আলিঙ্গনের মতো ছিল। তোমার এক চিলতে হাসিটা আমাকে এক অচেনা সুখ দিয়েছিল। আমি কিন্তু ভুলিনি, ভুলবও না! এসব যে আমার বাঁচার সম্বল। অনির্বাণ, তারপর এলোমেলো প্রেম, স্মৃতিগুলো এখনও তাজা। আমি কখনও তোমাকে ছাড়া বাঁচার কথা ভাবিনি। কচি মেয়ে ছিলাম, ভুলও অনেক করেছি। নিজের থেকে বেশি ভালোবেসে ফেলা এটাই আমার ভুল? অনির্বাণ, সবকিছু ঠিক ই ছিল। তাহলে কেন? হঠাৎ না বলে আমেরিকা চলে গেলে! আমার ভীষণ অভিমান হয়েছিল, একটুও ভাবনি না? আমার প্রিয় মুহূর্তগুলো ফিরে পেতে বার বার কেঁদেছি। কোনো সাড়া পাইনি, আমি চুরমার হয়ে ভেঙেছি বারবার। অনির্বাণ, আমাকে বুঝতেই দাওনি ক্যান্সার হয়েছে তোমার। আমার খুশির জন্য দূরে ঠেলে দিয়েছিলে? তুমি জানতে না আমার সবটুকু তুমিই ছিলে। আমার উপর দয়া করেছ ? না, মোটেই না। অত্যাচার বটে। অনির্বাণ! পাঁচটা বছর দূরে না থাকলেই পারতে। আমি নাহয় আ

"ভাষার কথা"

এই বরাকের তীরেই আমার কান্না-হাসা, মন পাহাড়ে ঘুরে আমার বাংলা ভাষা। ভাষার টানে জাতের বিচার করতে মানা, স্বপ্নে মেশে আগুন আমার দেয়-যে হানা। কান্না যখন চোখের কোনে স্মিত হাসে, উনিশ আবার আবেগ নিয়ে ফিরে আসে ৷ বুক চিতিয়ে বড়াইল দেখো রুখে দাঁড়ায়, আমার বাংলা, ঈশান মা যে হাতটা বাড়ায়। একটি মেয়ে দশটি ছেলের রক্তগাথা, তারায় তারায় উজ্জ্বল সেই মরণ-কথা। এগারো শহীদ বিষ-ভান্ড পান করেছে, আমার ভাষা, তোমার ভাষা স্থান পেয়েছে। জবান ছেঁড়ার ভয়টা যখন তাড়িয়ে বেড়ায়, ভাষা সন্ত্রাস মহোৎসবের বাজনা বজায়। এপার-ওপার বলে আমায় ভয় দেখাবি? "দুটি-কুসুম" জ্বললে যে তুই ধ্বংস হবি। রক্ত আবার টগবগিয়ে গান বাধবে, রং-ধনুকের রঙটাও তখন বাঁধ সাধবে।